দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের মহামারী পুজোর এক অলৌকিক কথা ।
বারে বারে এই পৃথিবীতে মহামারী আছড়ে পড়ছে কখনো প্লেগ কখনো কলেরা ইদানিং কালে গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ছে করোনা মহামারী , শুনে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি মহামারী শুধু মাত্র প্রাণঘাতী রোগ নয় মল্লভূমের একটি প্রাচীন দেবী ও বটে । এ পুজোর শুরু করে ছিলেন ৪৯ তম মল্লরাজ মহারাজা বিরহামবির বিষ্ণুপুর রাজ পরিবারের কূলদেবী মা মৃন্ময়ী দেবীর পূজোর সময় মহা নবমীর নিশুতি রাতে পূজিত হন এই মহামারী দেবী । এই পুজোকে কেন্দ্র করে কথিত আছে এক অলৌকিক কাহিনী মহারাজা বিরহাম্বির কোনো এক নিশুতি রাতে দুর্গ পরিদর্শনে বেরিয়ে ছিলেন তখন তিনি এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পান এক দেবী খচ্চরের উপর চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তখন রাজা তাকে ক্ষুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কে মহারাজার প্রশ্নের উত্তর না মেলায় মহারাজা রেগে গিয়ে রাজ সৈনিক দিয়ে তাকে বন্দি করেন তাঁর পর আবার জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি মহামারী দেবী আমাকে মৃন্ময়ী পুজোর নবমীর রাতে পুজো করতে হবে । পুজো করলে রাজা কে তিনটি বর দেবেন দেবী , তিনি বলেন রাজ পরিবারের কেউ সর্পাঘাতে মারা যাবেনা দ্বিতীয়ত রাজ পরিবারের কখনো অন্নের অভাব হবে না তৃতীয়ত এই মল্লরাজধানীতে কখনো মহামারী দেখা দিবে না তার পর থেকেই শুরু হয় দেবীর পূজো
। রাজা আর নেই তবুও রাজমহলের ভাঙাচোরা দেওয়ালের নোনাধরা ইট গুলো আজও সাক্ষী রয়েছে ইতিহাসের নানান কাহিনীর রাজ পরিবারের সদস্য সম্রাট সিংহ ঠাকুরের কাছে আমরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই অলৌকিক গল্প আমাদের শোনান
তবে এই পূজোর বেশকিছু নিয়ম আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় জানালেন রাজ পরিবারের পুরোহিত ।
আর মাত্র কিছু দিন তার পর দেবীর পূজো হবে এই মল্লভূমে তার পরই হয়তো বিশ্ব থেকে মহামারী করোনা বিদায় নিবে ।