মহামারী দেবীর পুজো হয় মল্লভূমে : রাজ পরিবারের ঐতিহ‍্য আজ ও বহমান

11th September 2021 12:14 pm বাঁকুড়া
মহামারী দেবীর পুজো হয় মল্লভূমে : রাজ পরিবারের ঐতিহ‍্য আজ ও বহমান


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের মহামারী পুজোর এক অলৌকিক কথা ।

বারে বারে এই পৃথিবীতে মহামারী আছড়ে পড়ছে কখনো প্লেগ কখনো কলেরা ইদানিং কালে গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ছে করোনা মহামারী , শুনে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি মহামারী শুধু মাত্র প্রাণঘাতী রোগ নয় মল্লভূমের একটি প্রাচীন দেবী ও বটে । এ পুজোর শুরু করে ছিলেন ৪৯ তম মল্লরাজ  মহারাজা বিরহামবির  বিষ্ণুপুর রাজ পরিবারের কূলদেবী মা মৃন্ময়ী দেবীর পূজোর সময় মহা নবমীর নিশুতি রাতে পূজিত হন এই মহামারী দেবী । এই পুজোকে কেন্দ্র করে কথিত আছে এক অলৌকিক কাহিনী মহারাজা বিরহাম্বির কোনো এক নিশুতি রাতে দুর্গ পরিদর্শনে বেরিয়ে ছিলেন তখন তিনি এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পান এক দেবী খচ্চরের উপর চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তখন রাজা তাকে ক্ষুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কে মহারাজার প্রশ্নের উত্তর না মেলায় মহারাজা রেগে গিয়ে রাজ সৈনিক দিয়ে তাকে বন্দি করেন তাঁর পর আবার জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি মহামারী দেবী আমাকে মৃন্ময়ী পুজোর নবমীর রাতে পুজো করতে হবে । পুজো করলে রাজা কে তিনটি বর দেবেন দেবী , তিনি বলেন রাজ পরিবারের কেউ সর্পাঘাতে মারা যাবেনা দ্বিতীয়ত রাজ পরিবারের কখনো অন্নের অভাব হবে না তৃতীয়ত এই মল্লরাজধানীতে কখনো মহামারী দেখা দিবে না তার পর থেকেই শুরু হয় দেবীর পূজো  
। রাজা আর নেই তবুও রাজমহলের ভাঙাচোরা দেওয়ালের নোনাধরা ইট গুলো আজও সাক্ষী রয়েছে ইতিহাসের নানান কাহিনীর  রাজ পরিবারের সদস্য সম্রাট সিংহ ঠাকুরের কাছে আমরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই অলৌকিক গল্প আমাদের শোনান

তবে এই  পূজোর বেশকিছু নিয়ম আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় জানালেন রাজ পরিবারের পুরোহিত । 

আর মাত্র কিছু দিন তার পর দেবীর পূজো হবে এই মল্লভূমে তার পরই হয়তো বিশ্ব থেকে মহামারী করোনা বিদায় নিবে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।